সকলের পরিচিত প্রাকৃতির গুণে ভরপুর এক উপাদান রসুন। রান্না ছাড়াও ভেষজ উপকরণ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই রয়েছে রসুনের কদর। তবে রান্নার স্বাদ অটুট রাখতে রসুনের জুড়ি নেই। সহজে উৎপাদন ও প্রাপ্তিতার ফলে এ উপকরণের বহুবিধ ব্যবহার লক্ষণীয়। রসুনকে কেউ রান্নার মসলা হিসেবে, কেউ ভেষজ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
রসুনের নির্যাস অ্যাজোইন, সাধারণ রক্ত কোষকে এইচআইভি সংক্রামিত কোষগুলির সাথে ফিউজ করা থেকে বাঁচায় এবং সংক্রামিত কোষগুলিতে এইচআইভি প্রতিরূপ check here প্রতিরোধ করে। রক্তে প্লেটলেট ইন্টিগ্রেইনস (একটি প্রোটিন যা রক্ত কোষকে এক সাথে ফিউজ করে তোলে) নিষ্ক্রিয় করে কোষের ফিউশনকে আটকাতে পারে ।।
রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রসুন ওষুধের মতোই দারুন ভাবে রোগ জীবাণু প্রতিরোধ করে। তবে খালি পেটে রসুন খেলে এই উপকার টা বেশি পাওয়া যায়। রসুন আমাদের শরীরে কিছুটা পেরাসিটামলের মত কাজ করে। রসুন যেহেতু দারুন ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে সেহেতু আপনি প্রতিদিন অত্যান্ত দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন।
কিন্তু প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনে রয়েছে মহা ওষুধি গুন। শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করে ।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ রসুনের মধ্যে এলিসিন নামক একটা উপাদান আছে যা আমাদের শরীরে এন্টি-ফাঙ্গাল ও এন্টি ভাইরালের ভুমিকা পালনের মাধ্যমে ক্ষতিকর ভাইরাস ও অসুখ থেকে আমাদের দূরে রাখে। নিয়মিত রসুন আমাদের সহজে ইনফেকশনের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে।
খালি পেটে রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালে, নাস্তা করার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন দুই কোয়া রসুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। খালি পেটে রসুন খাওয়া মূলত রসুনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, একে পরিণত করে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকে। গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে।
লো ব্লাড প্রেসার থাকলেও কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত নয়।
অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।
২। রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমে।
>> ডায়াবেটিস হলে কি করণীয়, ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জেনে নিন!
প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করেঃ রসুন শিরা-উপশিরায় প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া রসুন শিরা-উপশিরার মারাত্নক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাধাতেও সাহায্য করে।
১৩.দাতের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়ঃ হঠাৎ ব্যথা আরম্ভ হলে অথবা মাড়ি ফুলে গেলে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে দাঁতের যে কোনায় ব্যথা সে কোনায় রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর থেকে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া রসুন পাইরিয়া রোগ সারাতেও সাহায্য করে।
কাঁচা রসুনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
Comments on “Everything about রসুনের উপকারিতা ও উপকারিতা”